White Hole সত্যিই কি আছে

White Hole সত্যিই কি আছে বিস্তারিত তথ্য জানুন
2006 সালে হওয়া একটা ইভেন্টের জন্য বৈজ্ঞানিকরা ফাইনালি White Hole কে হয়তো ডিস্কোভার করতে পেরেছে।
একটা এমন Cosmic Objects, যেটার আমাদের ইউনিভার্সে হওয়ার সম্ভাবনা অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের Theary of Relatiuity পর থেকেই করা হচ্ছিল। White Hole সত্যিই কি আছে
কিন্তু ২০০৬ তে হওয়া একটা গামা রেডব্লাস, এই সম্ভাবনা সত্যি হওয়ার পেছনে আরো এক ধাপ এগিয়ে দেয়। কিন্তু তবুও এমন অনেক বিজ্ঞানী আছে যারা এই প্রমাণকে দেখার পরেও মনে করে যে না এটা White Hole নয়। তারা মনে করে White Hole একটা Hypothetical থিউরি।
যা আমাদের ইউনিভার্সের Thermodynamics এর Low কে কোনো ভাবেই মানে না। তাহলে প্রশ্ন হলো ২০০৬ সালে বিজ্ঞানীরা যেটা খুজে পায় সেটা আসলে কি?
আর White Hole সত্যি কি একটা Thermodynamics অর্থাৎ প্রকল্পিত অবজেক্ট। চলুন আজকের ভিডিওতে আমরা এই White Hole সম্পর্কে একটু জানার চেষ্টা করি। White Hole সত্যিই কি আছে
আরো পড়ুন>> বিশ্বের ভয়ংকর ১০ টি সেতু

White Hole কি
আমাদের ভূমান্ডের সবথেকে ব্রাইটেস্ট এবং সবথেকে বিচিত্র অবজেক্ট এই White Hole। এটা এমন একটা অবজেক্ট যেখানে বাইরে থেকে কোনো জিনিস এর ভেতরে প্রবেশ করে না।
বরং ভেতর থেকে বাইরের দিকে নিক্ষিপ্ত করা হয়। সাধারণ ভাবে যদি বলা হয় তাহলে Black Hole এর অপজিট হলো White Hole।
তার সাথে এই ভূমান্ডে যতটা জরুলী ব্লক হোল্ডের থাকা, ততটা জরুলী হোয়াইট হোল্ডের থাকাটাও। কারণ এতে ভূমান্ডের সবকিছু ব্যালেন্সের মধ্যে থাকে।
আর এই কথাটা আমি বলছি না এটা Stephen Hawking বলেছিল তার বই The Theory of Everything এর মধ্যে। থার থিউরি অনুযায়ী Everything Exists Withits Equal and Opposite।
তারমানে ইউনিভার্সে যে সকল জিনিস উপস্থিত আছে তার একটা Equal এবং Opposite আছে। উদাহরণ হিসেবে আপনি নিউটনের তৃতীয় সূত্রটিকে দেখে নিতে পারেন।
ঠান্ডার সাথে যেমন গরম থাকে তেমন মেটারের সাথে এন্টিমেটারও থাকে। অর্থাৎ প্রতিটা জিনিসেরই একটা Equal এবং Opposite থাকে।
আর এই লজিকটাকে যদি মাথায় রাখা যায় তবে Black Hole যদি থাকতে পারে তাহলে White Hole নিশ্চয় আছে। তবে একদিকে আমরা Black Hole সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পেরেছি। এমনকি Black Hole এর ছবিও আমরা দেখেছি।
কিন্তু White Hole আসলে দেখতে কেমন হতে পারে। White Hole সম্পর্কে আমাদের অতটা জ্ঞান নেই। তাই এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর যখন বৈজ্ঞানিকরা খুজছিলো, তখন তাদের মাথায় একটা বুদ্ধি আসে।
তারা ভাবে Black Hole কেউ যদি আমরা ভালো ভাবে স্টাডি করে, তার সমস্ত প্রপারটি গুলোকে একেবারে উলটো করে দেই তহালে হয়তো White Hole সম্পর্কে আমরা কিছু ধারণা পেলেও পেতে পারি।
চলুন ব্যাপারটা একটু সাধারণ ভাবে বোঝার চেষ্টা করা যাক। White Hole সত্যিই কি আছে
আরো পড়ুন>> বিশ্বের রহস্যময় ৯ টি প্রাচীন জায়গা
Black Hole
ব্লাক হোল্ড তার প্রচন্ড পরিমান Strong Gravitational Pull এর কারণে, তার আশেপাশে আবর্তন করা প্রতিটা বস্তুকেই নিজের দিকে আকর্ষণ করে নেই। এমনকি Photons কণাও এর থেকে বেঁচে উঠতে পারছে না।
এই বিষয়টাকেউ যদি আমরা গভীর ভাবে চিন্তা করা যাক। এই বিষয়টাকে যদি আমরা ভালো করে দেখি তাহলে আমরা দেখতে পাবো একটা ছোট্ট এবং ভারি অবজেক্ট যা রোটেড না হয়ে এক জায়গায় চুপ করে বসে থাকে।
আর তারপরেই আমরা দেখতে পাবো এর মধ্যে থেকে বিভিন্ন অবজেক্ট বন্দুকের গুলির মতো বেরিয়ে আসছে। তো আপনার কি মনে হয়? আসলে এটাই হলো White Hole। White Hole সত্যিই কি আছে
বৈজ্ঞানিকদের মতে ব্লাক হোল্ডের টাইম রিভারসেল করা যায়, তাহলে আমরা যেটা দেখতে পাবো সেটাই হোয়াইট হোল্ড হতে পারে। অর্থাৎ ব্লাক হোলের যে জায়গায় গেলে সেখান থেকে আর ফেরত আসা যায় না।
আর হোয়াইট হোলের যে এলাকায় গেলে তারপর থেকে আর White Hole এর কাছে যাওয়া যায় না। একারণে White Hole এর মধ্যে যেই সমস্ত অবজেক্ট আছে, সেগুলো ভূমান্ডের বাইরের অন্য কোনো অবজেক্ট এর সাথে ইন্টারেক্ট করতে পারে।
কিন্তু বাইরে যে সমস্ত অবজেক্ট আছে সেগুলো White Hole এর ভেতরের অবজেক্ট এর সাথে কোনো ভাবেই ইন্টারেক্ট করতে পারে না। White Hole সত্যিই কি আছে
এই সমস্ত কথা শোনার পর White Hole এবং ব্লাক হোলকে আপনার হয়তো একেবারে যমজ ভাইয়ের মতো মনে হতে পারে। কিন্তু এদের ক্যারেক্টার স্কিলে আকাশ পাতাল পার্থক্য রয়েছে।
আরো পড়ুন>> পৃথিবী ধ্বংস হবে মৌমাছি ছাড়া বিস্তারিত জানুন
Black Hole এবং White Hole এর মধ্যে পার্থক্য
>> White Hole সত্যিই কি আছে
Black Hole এর পার্থক্য
ব্লাক হোলের মধ্যে যদি কোনো জিনিস প্রবেশ করে তবে সেটা চেষ্টা করলেও বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে না। White Hole সত্যিই কি আছে
White Hole এর পার্থক্য
White Hole তার মধ্যে থাকা অবজেক্ট গুলোকে বাইরে বের করে দেয়। অর্থাৎ এটা বাইরের কোনো অবজেক্টকে তার ভেতরে প্রবেশ করতে দেই না।
কিন্তু তবুও যদি কেউ শক্তিশালী স্পেসশীপের মাধ্যমে White Hole এর মধ্যে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। তবে ইয়াইট হোলের মধ্যে থেকে শক্তিশালি গ্রামারে স্পেসশীপটাকে এত উত্তাপ্ত করে দেবে যে ওটা ওখানেই গলে যাবে।
তবুও যদি কেউ চলেও যায় প্রথমত আপনি কিছু দেখতেই পাবেন না। কারণ হুয়াইট হোলের মধ্যে থাকা এনার্জি হিট এবং লাইট হিসেবে বাইরের দিকে বেরিয়ে আসতে থাকে।
আর যেমন আমরা সবাই জানি যে হুয়াইট লাইট সমস্ত লাইটের ওয়েব লেন্থের মিকচার করা হয়। আর এই কারণে আপনার চোখের সামনে এত বেশি ব্রাইট লাইট আসবে, যে আপনি কোনো কিছু দেখতেই পাবেন না।
তবে এই সবকিছু বৈজ্ঞানিকদের দ্বারা দেওয়া একটা প্রকল্পিত। তাই হুয়াইট হোল কিভাবে তৈরি হয়? কিভাবে ফম হয় সেই সম্পর্কে সঠিক উত্তর কারো কাছেই নেই।
এই সম্পর্কে যে সমস্ত তথ্য আমাদের কাছে আছে সেগুলো বিভিন্ন ধরনের থিউরি। আর এদের মধ্যে এমন কিছু থিউরিও আছে যা পরিস্কার ভাবে বলে যে এই হুয়াইট হোলের অস্তিত্ব একেবারে সম্ভব নয়।
তবে আরো একটি থিউরি আছে যেটা Stephen Hawking দিয়েছিলেন। চলুন সেই থিউরিটাও জেনে নেওয়া যাক। White Hole সত্যিই কি আছে
আরো পড়ুন>> ব্ল্যাক হোল নামের ইতিহাসে কলকাতার যোগ কোথায়
The Theory of White Holes
আগেই বলেছি এই থিউরিটা দিয়েছে Stephen Hawking। তার এই থিউরি অনুযায়ী ব্লাক হোল থেকে মাক্স এবং এনার্জি হকিং রেডিয়েশন হিসেবে বাইরে বেরিয়ে আসে।
যে কারণে ব্লাক হোল ছোট হতে হতে শেষ হয়ে যায়। কিন্তু ব্লাক হোল যদি সময়ের সাথে সাথে শেষ হয়ে যায় তবে ঐ ব্লাক হোল তার জীবন কালে যে সমস্ত কিছু গ্রাস করেছিল সেগুলো কোথায় চলে যায়।
এই কারণে অনেক বিজ্ঞানীরা এটা মনে করে ব্লাক হোলে প্রবেশ করা কোনো বস্তু, Warm Hole এর মধ্যে দিয়ে পাস করে কোথাও একটা White Hole দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে। তবে এটাকেউ সত্যি প্রমাণ করার জন্য কোনো কিছু নেই।
এটাও একটা শুধু মাত্র থিউরি। তবে প্রতিবেদনের শুরুতেই আমি যেটা বলছিলাম ১০০৬ সালে আসলে কি হয়েছিলো। চলুন এই বিষয়ে একটু জেনে নেওয়া যাক।
আরো পড়ুন>> ব্ল্যাক হোল রহস্য
What Happened in 2006?
২০০৬ সালে Nasa Swift Satellite স্পেসের একটা এলাকাতে প্রচন্ড পরিমানে শক্তিশালী একটা gamma-ray burst ক্যাপচার করতে পেরেছিল।
সাধারণ ভাবে যদি আমরা দেখি তাহলে এরকম ধরনের কোনো ঘটনা স্পেসে ঘটা কমন। তবে বৈজ্ঞানিকরা এই gamma-ray burst এর মধ্যে কিছু স্পেশাল দেখেছিল।
এই কারণে তারা ঐ gamma-ray burst কে White Hole এর নাম দিয়ে দেয়। আসলে স্পেসের মধ্যে যে সমস্ত gamma-ray burst হয় সেটাকে দুটো ক্যাটাগরিতে ভাগ করা যায়।
প্রথমত Sort blast এবং Long blast আর দ্বিতীয়ত যেটাকে আমরা সুপার নোভা বলে থাকি।
কিন্তু ২০০৬ সালে ঐ gamma-ray burst টাকে অবজার করা হয় তখন এটা দেখা যায়, যেখানে সাধারণ gamma-ray burst ২ থেকে ৩০ সেকেন্ড এর মধ্যে শেষ হয়ে যায় সেখানে ঐ gamma-ray burst ১০২ সেকেন্ড সময় লেগে যায়।
এছাড়াও বিজ্ঞানীরা আরো কিছু লক্ষ করেছিল যা আমরা White Hole এর থিউরিতে দেখেছি। কিন্তু ঐ টা যে সত্যিই হুয়াইট হোল এই বিষয়ে নাসা বা অন্য কারো কাছে প্রমাণ নেই।
আর এই কারণে White Hole এর বিষয়টা এখনো একটা রহস্যজনক থেকে গিয়েছে। এই রহস্যের সমাধান কে কিভাবে করবে সেটা কেবল মাত্র সময়ই আমাদের বলে দিবে। White Hole সত্যিই কি আছে
শেষ কথা
এই ছিলো আমাদের আজকের প্রতিবেদন। আশা করি White Hole সম্পর্কে কিছুটা তথ্য জানতে পেরেছেন। আর আজকের এই আলোচনা থেকে আপনার কি মনে হয় আসলেই কি হুয়াইট হোল আছে? কমেন্টে জানিয়ে দিবেন। ধন্যবাদ
>> White Hole সত্যিই কি আছে
>> White Hole সত্যিই কি আছে বিস্তারিত জানুন