SSC Physics Chapter 4 পদার্থবিজ্ঞান নোট

SSC Physics Chapter 4

SSC Physics Chapter 4 পদার্থবিজ্ঞান নোট

SSC Physics Chapter 4
SSC Physics Chapter 4 পদার্থবিজ্ঞান নোট

অধ্যায় পরিচিতি

SSC Physics Chapter 4 এর নাম কাজ, ক্ষমতা, এবং শক্তি (Work, Power and Energy)। আজকে ৯ম ও ১০ম শ্রেণির পদার্থবিজ্ঞানের এই অধ্যায়ের সাজেশন দেওয়া হবে।

আরো পড়ুন>> SSC Physics Chapter 3 Hand Note

অধ্যায়ের সিলেবাস

কাজ , শক্তি, শক্তির বিভিন্ন রূপ, শক্তির বিভিন্ন উৎস, শক্তির নিত্যতা এবং রূপান্তর, ভর ও শক্তির সম্পর্ক, ক্ষমতা, কর্মক্ষমতা, উন্নয়ন কার্যক্রমে শক্তির ব্যবহার।

আরো পড়ুন>> SSC Physics পদার্থ বিজ্ঞান ২য় অধ্যায় নোট

প্রাথমিক আলোচনা (Primary Discussion)

আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে কোনো কিছু করাকে কাজ বলা হলেও পদার্থবিজ্ঞানে কাজ দ্বারা একটি সুনির্দিষ্ট ধারণাকে বুঝায়। বিজ্ঞানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে শক্তি।

আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে দেখি শক্তি ছাড়া জগৎ অচল। বিভিন্নরূপে আমরা শক্তি পাই। গতিশীল বস্তুর জন্য গতিশক্তি, ভূ-পৃষ্ঠের খানিক উপরে বস্তুর অবস্থানের জন্য বিভব শক্তি। একটি সংকোচিত বা প্রসারিত স্প্রিং এর শক্তি, গরম বস্তুর তাপ শক্তি, আহিত বস্তুর তড়িৎ শক্তি ইত্যাদি।

শক্তি ক্রমাগত এক রূপ থেকে অন্য রূপে রূপান্তরিত হচ্ছে, যদিও মহাবিশ্বের মোট শক্তির পরিমাণ অপরিবর্তনীয় এবং সুনির্দিষ্ট। স্কটল্যান্ডের বিজ্ঞানী জেমস ওয়াট বাষ্পশক্তিকে কাজে লাগিয়ে স্টিম ইঞ্জিনের উন্নতি সাধন করেন।

তিনি সর্বপ্রথম ইঞ্জিনে একের অধিক পিস্টন বা সিলিন্ডার ব্যবহার করেন। SSC Physics Chapter 4 আমরা এই বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করব। চরূণ আমরা ছোট প্রশ্ন গুলো দেখে আসি।

আরো পড়ুন>> SSC Physics পদার্থবিজ্ঞান ১ম অধ্যায় নোট

কমন উপযোগী জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

SSC Physics Chapter 4
SSC Physics Chapter 4 পদার্থবিজ্ঞান নোট

এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১. কর্মদক্ষতা কাকে বলে?

উত্তর: কোনো যন্ত্রের যে পরিমাণ শক্তি প্রদান করা হয় এবং যতটুকু পরিমাণ কার্যকর শক্তি হিসেবে পাওয়া যায় তার অনুপাতকে কর্মদক্ষতা বলে। 

প্রশ্ন ২. গতিশক্তি কাকে বলে?

উত্তর: কোনো গতিশীল বস্তু তার গতির জন্য কাজ করার যে সামর্থ্য লাভ করে তাকে গতিশক্তি বলে। 

প্রশ্ন ৩. বিভবশক্তি কাকে বলে?

উত্তর: স্বাভাবিক অবস্থান বা অবস্থা থেকে পরিবর্তন করে কোনো বস্তুকে অন্য কোনো অবস্থান বা অবস্থায় আনলে বস্তুর কাজ করার যে সামর্থ্য অর্জন করে তাকে বিভবশক্তি বলে। 

প্রশ্ন ৪. এক জুল কাকে বলে?

উত্তর: কোনো বস্তুর ওপর এক নিউটন বল প্রয়োগের ফলে যদি বস্তুটির বলের দিকে এক মিটার সরণ হয় তাবে সম্পন্ন কাজের পরিমাণকে এক জুল বলে। 

প্রশ্ন ৫. কাজ কাকে বলে?

উত্তর: কোনো বস্তুর ওপর বল প্রয়োগের ফলে যদি বলের প্রয়োগ বিন্দুর সরণ হয়, তাহলে প্রযুক্ত বল কাজ করেছে বলা হয়। 

প্রশ্ন ৬. কাজের একক কী?

উত্তর: কাজের একক জুল (J)। 

আরো পড়ুন>> SSC Physics Notes PDF

শীর্ষস্থানীয় স্কুলসমূহের টেস্ট পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তর

>> SSC Physics Chapter 4

প্রশ্ন ৭. হটস্পট কী?

উত্তর: ভূ-তাত্ত্বিক পরিবর্তনের ফলে গলিত ম্যাগমা উপরের দিকে উঠে যে স্থানে জমা হয় তাকে হটস্পট বলে। 

প্রশ্ন ৮. নিউক্লিয় শক্তি কী?

উত্তর: নিউক্লিয় ফিশন বিক্রিয়ায় উৎপন্ন শক্তিই নিউক্লিয় শক্তি। 

প্রশ্ন ৯. ঋণাত্মক কাজ কাকে বলে?

উত্তর: বল প্রয়োগের ফলে যদি বলের প্রয়োগবিন্দু বলের বিপরীত দিকে সরে যায় বা বরে বিপরীতদিকে সরণের উপাংশ থাকে তাহলে সেই কাজকে ঋণাত্মক কাজ বলে। 

প্রশ্ন ১০. অভিকর্ষজ বিভবশক্তি কাকে বলে?

উত্তর: অভিকর্ষ বলের বিরুদ্ধে কাজ করে কোনো বস্তুর অবস্থানে পরিবর্তন করলে বস্তু কাজ করার যে সামর্থ্য লাভ করে তাকে অভিকর্ষজ বিভব শক্তি বলে। 

প্রশ্ন ১১. প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান কী?

উত্তর: প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান মিথেন। 

আরো পড়ুন>> এসএসসি পদার্থবিজ্ঞান ৪র্থ অধ্যায়ের

কমন উপযোগী অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

>> SSC Physics Chapter 4

এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১. শক্তি ও কাজের একক অভিন্ন কেন? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: কোনো বস্তুর কাজ করার সামর্থ্যই হচ্ছে শক্তি। কাজ করা মানে শক্তিকে এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় রূপান্তরিত করা। এক্ষেত্রে কৃতকাজ ও রূপান্তরিত শক্তির পরিমাণ সমান। এর অর্থ হচ্ছে বস্তুটি সর্বমোট যে পরিমাণ কাজ করতে পারে তাই হচ্ছে শক্তি। যেহেতু, কোনো বস্তুর শক্তির পরিমাপ করা হয় তার দ্বারা সম্পন্ন কাজের পরিমাণ থেকে, সুতরাং কাজ ও শক্তির একক একই এবং তা হলো জুল (J)। 

প্রশ্ন ২. লভ্য কার্যকর শক্তি কর্মদক্ষতার উপর নির্ভর করে কেন? ব্যাখ্যা কর। 

উত্তর: কর্মদক্ষতা হচ্ছে কোনো যন্ত্রের মোট গৃহিত শক্তির কত অংশ কাজে রূপান্তরিত করতে পারে তার শতকরা পরিমাণ। অর্থাৎ কোনো যন্ত্রের কর্মদক্ষতা যদ বেশি সেটি তার দ্বারা শোষিত শক্তির তত বেশি অংশ কাজে রূপান্তরিত করতে সক্ষম। আবার কর্মদক্ষতা যত কম সেটি তার দ্বারা গৃহীত শক্তির তত কম অংশ কাজে রূপান্তরিত করতে পারবে। অতএব, উপরোক্ত আলোচনা থেকে স্পষ্ট প্রতিয়মান-লভ্য কার্যকর শক্তি কর্মদক্ষতার উপর নির্ভর করে। 

প্রশ্ন ৩. নিউক্লিয় বিক্রিয়া পরিবেশ বান্ধব নয় কেন? ব্যাখ্যা কর। 

উত্তর: নিউক্লিয় বিক্রিয়ায় প্রচুর পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হয় সাথে অলফা, বিটা বা গামা প্রভৃতি তেজস্ক্রিয় রশ্মিও নির্গত হয়। এসব তেজস্ক্রিয় রশ্মি জীবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এ কারণে নিউক্লিয় বিক্রিয়া পরিবেশ বান্ধব নয়। 

প্রশ্ন ৪. বিভব শক্তি বলতে কী বুঝায়? ব্যাখ্যা কর। 

উত্তর: স্বাভাবিক অবস্থান থেকে পরিবর্তন করে কোনো বস্তুকে অন্য অবস্থানে বা স্বাভাবিক অবস্থা পরিবর্তন করে অন্য কোনো অবস্থায় আনলে বস্তুর কাজ করার যে সামর্থ্য অর্জন করে তাকে বিভব শক্তি বলে। m ভরের কোনো বস্তুকে ভূপৃষ্ট থেকে h উচ্চতায় উঠাতে কাজের পরিমাণই হবে বস্তুর বিভব শক্তি। অর্থাৎ বিভব শক্তি V হলে V = mgh। 

প্রশ্ন ৫. বল প্রয়োগ করলে সকল ক্ষেত্রে কাজ সম্পন্ন হয় না কেন- ব্যাখ্যা কর। 

উত্তর: সরণ মানে নির্দিষ্ট দিকে বস্তুর অবস্থানের পরিবর্তন। কিন্তু বল প্রয়োগের ফলে যদি বস্তুর আদি অবস্থান ও শেষ অবস্থানের কোনো পার্থক্য না হয়, তবে কোনো বস্তুর সরণ হয় না। অর্থাত্ বস্তুর কৃত কাজের পরিমাণ শূন্য হয়। সুতরাং বলা যায় যে বল প্রয়োগ করলেই সব সময় কাজ সম্পন্ন হয় না।

প্রশ্ন ৬. ‘‘পৃথিবীর প্রায় সকল শক্তির উৎস সূর্য’’ ব্যাখ্যা কর। 

উত্তর: সূর্যের আলোকশক্তি কাজে লাগিয়ে উদ্ভিদ নিজের খাদ্য নিজেই উৎপাদন করে বেঁচে থাকে আর প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সমস্ত পৃথিবীর খাদ্যের জোগান দেয়। অর্থাৎ সূর্য না থাকলে উদ্ভিদও থাকতো না, আর উদ্ভিদ না থাকলে পৃথিবী খাদ্যাভাবে কোন প্রাণীর অস্তিত্বই থাকতো না। এভাবে সূর্য সকল শক্তির উৎস। SSC Physics Chapter 4 

প্রশ্ন ৭. কিভাবে নিউক্লিয়ার রি-অ্যাক্টর নিয়ন্ত্রণ করা যায়? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: রিয়াক্টরের অভ্যন্তরে: জির্কনিয়াম প্লেট দ্বারা আবৃত ইউরেনিয়াম জ্বালানি এখানে অবস্থান করে। এটি চালু করলে nuclear fission বিক্রিয়ার মাধমে নিউট্রন ও অত্যধিক পরিমান তাপ উৎপন্ন হয়। সৃষ্ট নিউট্রন চেইন বিক্রিয়ায় আরো অধিক তাপ উৎপন্ন করে। অতঃপর জ্বালানি রডের চারপাশে পানি প্রবাহিত করা হয়।

প্রশ্ন ৮. সিঁড়ি বেয়ে ছাদে উঠা কোন ধরনের কাজ? ব্যাখ্যা কর। 

উত্তর: সিঁড়ি বেয়ে ছাদে উঠা বলের বিরুদ্ধে কাজ এবং ঋণাত্মক কাজ। যদি বল প্রয়োগের ফলে বস্তু বলের বিপরীত দিকে সরে যায়, তাহলে সেই কাজকে বলের বিরুদ্ধে কাজ বলে। 

আমরা জানি, অভিকর্ষ বল সর্বদা পৃথিবীর কেন্দ্রে দিকে টানে। এখানে সিঁড়ি বেয়ে ছাদে উঠা তাই অভিকর্ষ বলের বিরুদ্ধে কাজ। যেহেতু বলের বিরুদ্ধে কাজ, তাই এটি ঋণাত্মক কাজ।

>> SSC Physics Chapter 4

শেষ কথা্

এই ছিলো আমাদের আজরেক SSC Physics Chapter 4 এর সাজেশন। আশা করি এই প্রতিবেদন থেকে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন। আপনার মূল্যবান সময় ব্যায় করে আর্টিকেলটি দেখার জন্য অনেক দন্যবাদ। নিয়োমিত এমন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে আমাদের এই সাইটের সাথেই থাকবেন। 

>> SSC Physics Chapter 4 পদার্থবিজ্ঞান নোট

>> SSC Physics Chapter 4

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *