NASA কিভাবে বিশাল গ্রহাণুকে ধ্বংস করল

NASA

NASA কিভাবে বিশাল গ্রহাণুকে ধ্বংস করল

NASA
NASA কিভাবে বিশাল গ্রহাণুকে ধ্বংস করল

NASA কিভাবে বিশাল গ্রহাণুকে ধ্বংস করল 

১৯ জুন ২০০৪ সালে Kitt Peak National Observatory এর বিজ্ঞানীরা মাহাকাশে এস্টোরাইটের পাথকে অবজার করছিলেন। অবজার করার সময় তারা এটা নোটিশ করেন যে 99942 APOPHIS বলে একটা এস্টোরাইট খুব দ্রত পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে।

আর ২০২৯ সালে এটা পৃথিবীর সাথে ধাক্কা খেতেও পারে। আর তার সাথে এটাও জেনে নিন এই এস্টোরাইট পৃথিবীর সাথে ধাক্কা খেলে যে এনার্জি তৈরি হবে সেটা ১ হাজার নিউক্লিয়ার বোমের সমান।

যে এনার্জি আরো একবার পৃথিবীকে শেষ করে দিতে পারে। অর্থাৎ একটা MASS EXTINCTION ইভেন্ট নিশ্চিত ছিলো। এই এস্টোরাইটটা বিজ্ঞানীদের উপর এতো বেশি প্রেসার ক্রিয়েট করে যে তাদের একটা নতুন টেকনিককে আবিস্কার করতে হয়।

যাতে এরকম ধরনের Reviewture এ পৃথিবীর দিকে আসা এস্টোরাইটকে, পৃথিবীকে রক্ষা করা যেতে পারে। তবে চিন্তার কোনো কিছু নেই।

কারণ আমাদের কাছে এমন টেকনোলজি আছে যার সাহায্যে যে কোনো এস্টোরাইট, যা পৃথিবীর দিকে আসছে, পৃথিবী থেকেই তার পথকে পরিবর্তন করে দেওয়া যেতে পারে। তার সাথে সাথে ঐ এস্টোরাইটের গতিপথকেউ ধীর করে দেওয়া সম্ভব। আর এই কাজটা নাসা করে দেখিয়েছে। 

NASA
NASA কিভাবে বিশাল গ্রহাণুকে ধ্বংস করল

নাসার গবেষণা

নাসার দ্বারা লঞ্চ করা একটা বিশাল এস্টোরাইটের পথকে পরিবর্তন করা সম্ভব হয়েছে। আর এটা বিজ্ঞানের জগৎতে অনেক বড় একটা মাইলস্টোন।

কারণ ভবিষ্যতে আমাদের কোনো এস্টোরাইটের ধাক্কায় ভয় পাওয়ার দরকার পরবে না। কারণ আপনারা জানেন অনেক বছর আগে একটা এস্টোরাইটের ধাক্কায় আমাদের পৃথিবী থেকে একটা জীবনকে মুছে ফেলেছিলো।

তবে আজকের দিনে সেই ভয় থেকে আমরা অনেকটাই বেঁচে গেছি। এখন জেনে নেওয়া যাক নাসা এমন কি ডিসকোভারি করল আর তারা কোন কোন বিষয়ে সফল হতে পেরেছ। 

আরো পড়ুন>> বিশ্বের রহস্যময় ৯ টি প্রাচীন জায়গা

NASA পূর্ণরূপ কী

নাসার পূর্ণরূপ হলো National Aeronautics and Space Administration। 

নাসার Discovery

এতোদিন পর্যন্ত যত স্পেস এক্সপ্লয়নেশন হয়েছে সেসব কিছু থেকে একটা জিনিস তো পরিস্কার, যে প্রচুর এস্টোরাইট আছে যা আমাদের পৃথিবীর আশেপাশে ঘুরছে।

প্রায় দুই হাজারের বেশি এমন এস্টোরাইট আছে, যে এগুলো DANGER ZONE এর মধ্যে পড়ে। তারমানে এগুলোর মধ্যে একটাও যদি পৃথিবীর মধ্যে পড়ে তাহলে কয়েক মিলিয়ন বছর আগে chicxulub asteroid এর সাথে যেটা হয়েছিল।

মানে যে এস্টোরইড ডাইনোসরের চিহৃকে শেষ করে দিয়েছিল এরকম ধরনের ঘটনা ঘটবে। মানে বলতে পারেন প্রায় ৭০ থেকে ৮০% জীবন পৃথিবী থেকে শেষ হয়ে যাবে।

এজন্য নাসা পৃথিবীর সিকিউরিটির জন্য অনেক আগে থেকেই কাজ করছিলো। অবশেষে তারা এমন একটা মেশিনকে লঞ্জ করে যেটা আমাদের মহাজাগতিক অবজেক্ট থেকে বাঁচানে পারে।

মেশিনটির নাম ছিলো Double Asteroid Redirection Test space craft। একে সংক্ষেপে DART বলা হয়। NASA কিভাবে বিশাল গ্রহাণুকে ধ্বংস করল

আরো পড়ুন>> পৃথিবী ধ্বংস হবে মৌমাছি ছাড়া বিস্তারিত জানুন

DART মেশিন

সাধারণত এই DART মেশিনটির কাজ ছিলো কোনো এস্টোরইটের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে তার পথ এবং তার গতিকে Change করে দেওয়া।

আর এই মেশিনটাকে সফল করার জন্য নাসা Didymos binary asteroid system কে চয়েজ করে। যা পৃথিবী থেকে প্রায় 1,09,43,539KM দূরে।

তারা এতো দূরের একটা এস্টোরইটকে চয়েজ করে, যাতে এর উপরে যখন আঘাত হবে, তারজন্য আমাদের পৃথিবীর কোনো ক্ষতি না হয়।

আর এই সিস্টেমের মতো তারা Specifically ১৬০ মিটারের Diameter asteroid যার নাম didymos সেটাকে চয়েজ করে। এবার মিশনটা খুব সহজ ছিলো।

একটা সেটেলাইটকে ঐ DIDYMOS এ ধাক্কা খাইয়ে ওর একচুয়াল যে অরবিট আছে যেটা থেকে তাকে Deviate করে দেওয়া। শেষমেশ তারিখ ও ডেট ঠিক হয়ে যায়। শুধু বাকি Execution এর। আর সেই দিনটাও কাছে চলে আসে। 

আরো পড়ুন>> Mobile Phone দিয়ে ইউটিউবের ভিডিও ভাইরাল

NASA বা নাসা Execution 

NASA এর Execution এর তারিখ ঠিক হয় 24 NOVEMBER 2021 সাল। Falkon 9 রকেটের সাহায্যে নাসা তাদের DART স্পেস ক্রাফ্টকে ঐ এস্টোরইটের দিকে লঞ্জ করে দেয়।

তারপর প্রায় ১০ মাস পার হওয়ার পর 26 September 2022 সালে 7.14 মিনিটে DART space craft ২২ হাজার ৫৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বেগে ঐ এস্টোরইটের সাথে ধাক্কা খায়।

আর ধাক্ক খাওয়ার পর সেটা রিয়েলি কেমন ছিলো সেটা Hubble Space Telescope এবং James Webb Space Telescope ভিডিও এবং ছবি তোলে।

আর এদের দ্বারা তোলা ছবি গুলো দিয়ে বিজ্ঞানীরা এরা বের করার কাজ করছে সেখানে আসলে কি হয়েছিল। দুটো টেকনিকেল ছবিকে একত্রিত করে আমরা দুটো জিনিস সম্পর্কে জানতে পারব।

প্রথমত ঐ এস্টোরইটের উপরেতে কি আছে দ্বিতীয়ত কোন জায়গায় ধাক্কা খাওয়ার ফলে ঐ এস্টোরইটটা তার নিজের অরবিট থেকে deviate হয়ে গিয়েছিল।

তবে যেহেতু ঘটনাটা রিছেন্টলি তাই বিজ্ঞানীরা আরো রিচার্জ করছে। তবে Hubble দ্বারা দিয়ে তোলা ছবি থেকে একটা ইন্টারেস্টিং জিনিস বোঝায় যায়।

ধাক্কা খাওয়ার পরে এস্টোরইট থেকে যে লাইট বের হচ্ছে তা চারেদিকে ছড়িয়ে যাচ্ছে। আর ঐ Ray গুলার মধ্যে কিছু Ray আছে যেগুলো পেন্ড হয়ে যাচ্ছে।

এটা খুবই ইন্টারেস্টিং জিনিস। তবে এর মধ্যে কি আছে এবং কেন হচ্ছে সেটা বর্তমানে আমি বলতে পারব না কারণ বিজ্ঞানীরা এর উপরে রিচার্জ করছে।

তবে যায় হোক না কেনো একটা জিনিস তো আমরা নিশ্চিন্তে বলতেই পারি, যে আমাদের কাছে এমন একটা টেকনোলজি চলে আসছে যার সাহায্যে পৃথিবীর দিকে আসা যে কোনো এস্টোরইটকে আমরা তাদের পথ পরিবর্তন করে দিতে পারি।

মানে আমরা এটা বলতে পারি যে, বর্তমানে একটা নতুন যুগের শুরু। তার সাথে মহাকাশ থেকে আসা যে কোনো বিপদ থেকেও আমরা লড়তে পারবো।

আরো আধুনিক যন্ত্র আবিস্কার করে আমরা এলিয়েন থেকেও বাঁচতে পারি। মানে বলা যায় না যদি কোনো এলিয়েন পৃথিবীর উপর এটাক্ট করে তাহলে হয়তো এই টেকনোলজি দিয়েই আমরা পৃথিবীকে বাঁচাতে পারি। 

আরো পড়ুন>> পৃথিবীকে রক্ষার পরীক্ষায় সফলভাবে গ্রহাণুকে ধাক্কা দিলো

নাসার DART মিশনের টার্গেট

উপরের টার্গেটটি NASA এর তৈরি করা DART মিশনের মূল টার্গেট নয়। এটি  Planetary defense system এর অংশ মাত্র। নাসা পৃথিবীকে এমন বিপদ থেকে বাঁচার জন্য এমন অনেক ধরনের Plan করে রেখেছে।

আর এসবকিছু সম্পর্কে হয়তো আপনি জানেনও না। আর এই গুপ্ত পরিকল্পনা গুলো কি সেগুলো সম্পর্কে একটু জানার চেষ্টা করা যাক। 

>> NASA সম্পর্কে বিস্তারিত

Planetary defense system

Planetary defense system এর টেকনিক খুবই সাধারণ। এর প্রথম পরিকল্পনা FIND। এই শব্দটা থেকেই আপনি বুঝতে পারছেন এই স্টেপে তারা কি করতে কি চাইছে।

এখানে তারা Near Earth Object নামে একটা স্যাটেলাইটকে নাসা মহাকাশে লঞ্চ করবে। যার মূলখ কাজ থাকে বিভিন্ন অরবিটকে খুজে বের করা।

মানে পৃথিবীর দিকে কোনো বিপদ আসলে সেটাকে খুজে বের করবে এই চ্যাটেলাইট। যখন কোনো অরবিট আঘাত হানবে আমাদের পৃথিবীতে তখনই শুরু হবে দ্বিতীয় স্টেপ।

আর এই স্টেপের নাম Warm। কোনো অবজেক্ট রিরেক্ট হওয়ার সাথে সাথে PDCO এর প্রথম কাজ হবে ঐ অবজেক্ট সম্পর্কে সময় মতো তথ্য দেওয়া।

এছাড়াও আরো বেশ কিছু খবর নাসার কাছে আসবে যেমন যে অরবিটটি পৃথিবীর দিকে আসছে, সেটার গতি এবং কি ধরনের ক্ষতি হতে পারে ইত্যাদি সকল বিষয়ও জানা যাবে।

আর তথ্য পাওয়ার পর নাসা এগিয়ে যাবে তাদের পেরের স্টেপে। খবর পাওয়ার পর নাসা Government এর সাথে যোগযোগ করে ঐ এস্টোরইট বা যে কোনো বিপদ ধ্বং করার কাজ  ‍শুরু করবে। 

শেষ কথা 

এই ছিলো আমাদের আজকের প্রতিবেদন। আশা করি এই প্রতিবেদ থেকে আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং নাসার গবেষণা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

এছাড়াও আপনি নাসার গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্টেপ সম্পর্কেও জানতে পেরেছেন। প্রতিনিয়ত এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে আমাদের এই সাইটের সাথেই থাকবেন। ধন্যবাদ

>> NASA কিভাবে বিশাল গ্রহাণুকে ধ্বংস করল

>> NASA

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *