বিশ্বের এডভান্স টেকনোলজি সম্পর্কে জানুন

সবথেকে এডভান্স টেকনলজি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
হ্যালো বন্ধুরা কল্পনা করুন এমন একটা মেশিনের যেটা সূর্যের মতই আমাদের শক্তি দিতে পারে এবং যাকে ব্যবহার করে আমরা খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমরা এমন স্পেস মিশন করতে পারবো,
যার ফলে আমরা মানব সভ্যতাকে পৃথিবীতে থেকে প্রায় ৪০ আলোকবর্ষ কোনো গ্রহতে নিয়ে যেতে সমর্থ হবো। বিশ্বের এডভান্স টেকনোলজি সম্পর্কে জানুন
যদি আমাদের অর্থাৎ মানব সভ্যতাকে এই ভূমান্ডের মধ্যে রাজত্ব করতে হয় তবে যে কোনো প্রকারে আমাদেরে এনার্জিকে কন্ট্রল করতে শিখতে হবে।
কোনো সভ্যতাই ভূমান্ডের মধ্যে টিকে থাকতে পারে যতদিন তাদের কাছে এনার্জির রিসোর্স থাকবে। সূর্যের কারণে আমরা পৃথিবীতে অসিমীত এনার্জি পাই।
যার জন্য এখানে আমরা জীবন যাপন করতে পারি। কিন্তু জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং ভবিষ্যৎ স্পেসশীপের জন্য আমাদের আরো বেশি এনার্জি প্রয়োজন।
আরো পড়ুন>> প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইন
এছাড়াও আমরা পরিবেশ দূষণ না করে কোনো প্রকার এনার্জি তৈরি করতে পারি তবে তার থেকে ভালো আর কি হতে পারে। এর ফলে আমাদের গ্রহ যেমন বাঁচবে তেমন ভবিষ্যতের পৃথিবীতে খুব আরামে জীবন যাপন করতে পারবে।
তবে এই সবকিছু যতটা সহজ আমাদের কাছে শুনতে মনে হয় ব্যাপারটা ততই বেশি কঠিন আমাদের কাছে। বর্তমানে আজও পৃথিবীতে প্রায় ৫০% এনার্জি জীবাশ্ম জ্বালানী এবং কয়লার সাহায্যে তৈরি হয়।
এই এনার্জিগুলো আমাদের পৃথিবীর জন্য এনার্জি তৈরি করতে পারলেও ভবিষ্যৎ স্পেসশীপ মেশনের জন্য কোনো কাজেরই নয়।
একারনে আমাদের এমন একটা এনার্জি সোর্স প্রয়োজন যা খুব অল্প ভরের ফিউলকে ব্যবহার করে আমাদের অনেক বেশি এনার্জি দিতে পারে। বিশ্বের এডভান্স টেকনোলজি সম্পর্কে জানুন
তার সাথে পরিবেশ দূষণ যেন না হয় সেদিকেও লক্ষ রাখতে হবে। এ সবকিছু দেখার পর ভারত এবং অন্যন্য কিছু দেশ মিলে একটা ২ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকার মেশিন তৈরি করার কাজ চালাচ্ছে।
যা ভবিষ্যৎতে গ্রীন এনার্জি দেওয়া সাথে সাথেও টাইপ ১ সিভিলাইজেশন বানানোর জন্য সাহায্য করবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক এটা কিভাবে হবে এবং ভারত ও অন্যান্য দেশ এই এনার্জিকে কিভাবে পেতে পারবে।
এনার্জি সোর্স
২০২০ সালে ভারতের এনার্জির ডিমান্ড প্রায় 9000 twh ছিলো। যার মধ্যে ৫০% এনার্জিকে আমরা জীবাশ্ম জ্বালানী এবং কয়লা থেকে তৈরি করেছিলাম।
এবার যেভাবে যেভাবে আমাদের এনার্জির ডিমান্ড বাড়ছে এবং রিসোর্স কমে যাচ্ছে সেক্ষেত্রে নিউক্লিয়ার এনার্জি এমন একটি রাস্তা যাকে ব্যবহার করে আমরা সম্পূর্ণ এনার্জি পূরণ করতে পারব। তারসাথে এটা আমাদের স্পেস মিশনেও অনেক সাহায্য করতে পারবে।
আরো পড়ুন>> ডাটা রিকভারি এত ব্যয়বহুল কেন?
মহাকাশের উজ্জল সূর্য
মহাকাশের উজ্জল সূর্যকে আমরা প্রতিদিনই দেখি। তবে আমরা কি কখনো ভেবেছি যে সূর্য এতো বেশি এনার্জিকে কিভাবে রিলিজ করে। বিশ্বের এডভান্স টেকনোলজি সম্পর্কে জানুন
সূর্যের এই এনার্জি শেষ হতে প্রায় ৫০ কোটি বছর সময় লেগে যাবে। সূর্য প্রতি সেকেন্ডে নিউক্লিয়ার এনার্জি রিলিজ করে তা দিয়ে অনেক বড় বড় শহরকে কয়েক হাজার বছল পর্যন্ত চালানো যেতে পারে।
শুধু কল্পনা করুন মাত্র ১ সেকেন্ডে। এই ব্যাপারটাকে মাথায় রেখে ভারত, ফ্রান্স, জাপান, চাইনা, অ্যামেরিকা, ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন, রাশিয়া,
দক্ষিণ কোরিয়া এসব দেশ মিলে ২২ বিলিয়ন ডলারের একটা মেগা প্রজেক্ট তৈরি করছে যা ভবিষ্যতে ঠিক এই ভাবেই এনার্জি তৈরি করবে যেটা সূর্য কোটি কোটি বছর ধরে করে আসছে।
নিউক্লিয়ার ফিউশন এনার্জির এই প্রজেক্টটা আসলে কত বড়? আর কিভাবে এটা আমাদের দেশের সাথে আরো অন্যন্য দেশকে সাহায্য করবে? আর তার সাথে স্পিস মিশনেও আমাদের আরো দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাবে? চলুন এই প্রতিবেদনে আমরা সেই বিষয়ে যানার চেষ্টা করব।
আরো পড়ুন>> রহস্যময় পৃথিবীর ৫ টি অসমাধিত রহস্য
নিউক্লিয়ার ফিউশন এনার্জি
আমাদের সূর্য নিউক্লিয়ার ফিউশনের সাহায্যে এনার্জি তৈরি করে। এই প্রসেসে হাইড্রজেন ফিউজ হয়ে হিলিয়ামে পরিণত হয়। অত্যাধিক প্রেসার এবং তাপমাত্রার জন্য হাইড্রোজেনের এটাম গুলো প্লাজমাতে পরিণত হয়।
এটা কোনো মেটারের 4th From, একেবারে গ্রাসের মতই হয়, শুধুমাত্র পার্থক্য হলো প্লাজমা ইলেকট্রসিটি এবং ম্যাগনেটিভ ফ্লিম। যার ফলে এর মধ্যে চারটা হাইড্রোজেন এটাম মিলে একটা হিলিয়াম তৈরি করে,
আর সাথে সাথে কিছু মাক্স কনভার্ট হয়ে এনার্জি তৈরি করে। আর এই এনার্জিটাই আমরা নিউক্লিয়া ফিউশন এর জন্য পাই এবং এই প্রসেসটার জন্য মহাকাশে সূর্য এবং অন্যান্য নক্ষত্র গুলো চকমক করে।
এবার পৃথিবীতে যদি কোনো একটা কৃত্তিম নিউক্লিয়ার ফিউশন তৈরি করা হয় তাহলে আমরা মহাকাশেল মতই এনার্জি পাবো। এটা থেকে আমরা এতোটাই এনার্জি পাবো যে ১ ঘন্টা ধরে আমরা ৮ বিলিয়ন এলইডি লাইড জ্বালাতে পারব।
তবে নিউক্লিয়ার ফিউশন ব্যাপার যতটা সহজ আমাদের কাছে বলে মনে হয় আসলে সেটা ততটা সহজ নয়। বরং এটা ১০০ বছর ধরে বিজ্ঞানীদের চিন্তায় ফেলে রেখেছে।

আরো পড়ুন>> White Hole সত্যিই কি আছে
পৃথিবীতে নিউক্লিয়ার ফিউশন এনার্জি তৈরি
সূর্যের মধ্যে প্রচন্ড পরিমানের হিটের জন্য ফিউশন প্রসেস খুব সহজেই হতে পারে। তবে পৃথিবীতে এটা করা খুবই কঠিন কাজ। এর জন্য আমাদের রিয়েক্টারের মধ্যে হাইড্রোজেনকে প্রায় ১৫ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করতে হবে।
তারপরেই এটা প্লাজমাতে পরিণত হবে এবং হাইড্রোজেন এটাম গুলো ফিউজেন করার জন্য রেডি হবে। এই কাজটাই করার জন্য ফ্রান্ডের মধ্যে একটা ITER সংস্থা আছে, যা ২০২৫ পর্যন্ত এমন একটা মেশিন তৈরি করতে চলেছে।
যা এই তাপমাত্রাকে কন্ট্রল করে এটমকে ফিউজ করতে পারে এবং আমাদের এনার্জি দিতে পারে। এই ভূমান্ডের মধ্যে এমন কোনো মেট্ররিয়াল নেই যা ১৫ কোটি সেলসিয়াস প্রসেসকে কন্ট্রল করতে পারে।
এই বিষয়টা মাথায় রেছে ITER বিশাল বিশাল ম্যাগনেটের সাহায্যে একটা ম্যাগনেটিভ ফ্লিমের গোড়া তৈরি করছে। যা ১৫ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার প্লাজমাকে কন্ট্রল করতে পারে।
এই ম্যাগনেটিভ গুহাটাকে টোকা ম্যাক (TOKAMAK) বলা হয়ে থাকে। বর্তমানে এমন কোনো টোকাম্যাক নেই যা আমাদের নেট এনার্জি দিতে পেরেছে। বিশ্বের এডভান্স টেকনোলজি সম্পর্কে জানুন
অর্থাৎ যতটা এনার্জি ঐ প্লাজমা তৈরি করতে খরচ হয় কোনো টোকাম্যাক এমন নেই যে তার থেকে বেশি এনার্জি রির্টান দিতে পারে। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক এই টোকাম্যাক কিভাবে কাজ করে এবং আমাদের কিভাবে এনার্জি দিতে পারে।
>> বিশ্বের এডভান্স টেকনোলজি সম্পর্কে জানুন
টোকাম্যাক (TOKAMAK) কিভাবে কাজ করে
টোকাম্যাকের মধ্যে প্রধাণত ৫টি কম্প্রনেট থাকে। সবার আগে একটা জায়েন্ট ম্যাগনেট থাকে যা কন্ট্রল করার সাথে সাথে তাকে একটা সেপও দিয়ে দেই।
তারপর ভেতরে একটা ভেকিউট চেম্বার থাকে যেটাতে প্লাজমাকে ফিউজ করানো হয়। এখানে প্লাজমা প্রায় ১৫ কোটি ডিগ্রি সিলসিয়াস তাপমাত্রা পর্যন্ত উত্তপ্ত হয়।
এই মেশিনের তৃতীয় কম্পনেট একটা ব্লেংকেট হয় যা ভেকিউট চেম্বারকে হাই এনার্জি নিউক্লন পার্টিকেল থেকে বাঁচায়। ভেকিউট চেম্বারের নিচেই থাকে একটা ডাইভার্টার যা রিয়েক্টরের মধ্যেকার ইমপ্রিউরিটিকে কন্ট্রল করে।
এরপর পঞ্চম যে কম্প্রনেট পুরো মেশিনটাকে ঘিরে থাকে এবং পুরো সিস্টেমটাকে ঠান্ডা রাখার কাজ করে সেটা ভারত তৈরি করেছে। আর সেটাকে বলা হয় ক্রায়োসট্রেট। এটি তার তাপমাত্রাকে -269 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় থাকতে পারে।
>> বিশ্বের এডভান্স টেকনোলজি সম্পর্কে জানুন
কিছু কথা
জলবায়ু পরিবর্তন করার জন্য এই টেকনলজি খুব দ্রুত তৈরি করা প্রয়োজন। ফিউশনের থেকে তৈরি এই ইলেকট্রসিটিকে আমরা তখনই ব্যবহার করত পারবো যখন এটা কয়লা এবং জীবাশ্ম জ্বালানির তৈরি হওয়া ইলেকট্রসিটির সমান হবে।
বর্তমানে এগুলো সব থিউরিতেই রয়েছে। তবে এই থিউরি গুলো পূরণ হতে ৫০ থেকে ৬০ বছর সময় লেগে যেতে পারে। আর যদি আমরা এগুলো করে ফেলতে পারি তাহলে হয়তো আমরা একদিন টাইপ ১ সিভিলাইজেশনে পরিণত হতে পারব। যেটা বর্তমানে আমাদের প্রধান লক্ষ হওয়া উচিত।
>> বিশ্বের এডভান্স টেকনোলজি সম্পর্কে জানুন
শেষ কথা
তো এই ছিলো আমাদের আজকের প্রতিবেদন আশা করি প্রতিবেদন আপনার কাছে ভালো লেগেছে। আপনার মূল্যবান সময় ব্যায় করে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। নিয়োমিত এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে হলে আমাদের এই সাইটের সাথেই থাকবেন।
>> বিশ্বের এডভান্স টেকনোলজি সম্পর্কে জানুন
>> বিশ্বের এডভান্স টেকনোলজি