বিশ্বের রহস্যময় ৯ টি প্রাচীন জায়গা
আপনি কি জানেন? বর্তমান সময়ে বিশ্বের সবথেকে প্রাচীন এবং রহস্যময় স্থন কোনটি? আজকের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমি আপনাদের বিশ্বের ভয়ংকর ৯টি প্রাচীন নিদর্শন সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব।
আপনি যদি রহস্যময় জায়গা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই প্রতিবেদনটি আপনার জন্য। আমাদের দেশেও বেশ কিছু রহস্যময় প্রচীন জায়গা রয়েছে তবে আপনি সেগুলো জানেন।
কিন্তু আজকে আমি পুরো বিশ্বের ভয়ংকর জায়গা সম্পর্কে জানবো। যেটা জানার পর আপনিও অবাক হয়ে যাবেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক আমাদের আজকের প্রতিবেদ। তবে তার আগে আমি আপনাদের প্রাচীন জাগয়া বা স্থান কী সেটা সম্পর্কে জানিয়ে দেই।
>> বিশ্বের রহস্যময় ৯ টি প্রাচীন জায়গা

প্রাচীন নির্দশন কাকে বলে
প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন বা প্রাচীন নিদর্শন হলো প্রাচীন কালের ব্যবহৃত জিনিসপত্র, মুদ্রা, অট্টালিকা, স্থাপত্য, গহনা, ধাতব অস্ত্র ইত্যাদি। উপরের নির্দশন গুলোর মধ্যে রহস্যময় কয়েটি নির্দশনের নাম নিচে দেওয়া হলো। আনি যদি রহস্যময় এই স্থান সম্পর্কে জানতে চান তাহলে প্রতিবেদনটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
আরো পড়ুন>> রহস্যময় পৃথিবীর ১০টি অমীমাংসিত রহস্য
রহস্যময় ১০টি প্রাচীন নির্দশন
রহস্যের আবডালে ঘেরা আমাদের এই বিশ্ব। বর্তমানে আধুনিক বিজ্ঞানের সময়েও এই রহস্যময় স্থন সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা কিছুই বলতে পারে না। রহস্যময় প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন অনেক রয়েছে যা আমাদের অবাক করেছে।
অনেক নিদর্শন আজও রয়েছের আর কোনো ব্যাখ্যা বা সমাধান আমাদের বা বিজ্ঞানীদের জানা নেই। সেই সব অবাক করা নিদর্শন সম্পর্কে আজকে আপনি জানতে পারবেন এই প্রতিবেদনে। নিচে দেখে নিন কয়েকটি প্রাচীণ নির্দশন সম্পর্কে।
আরো পড়ুন>> গ্রহের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জায়গা
১. ইষ্টার দ্বীপ

অমীমাংসীত এক দ্বীপের নাম হলো ইষ্টার দ্বীপ যার অপর নাম রাপা নুই। ইষ্টার দ্বীপের অবস্থান তাহিতির সমুদ্র তীর হতে ২০০০ মাইল দূরে। এই দ্বীপটির সবথেকে রহস্যময় বিষয়টি হলো এখানে দাঁড়িয়ে থাকা মূর্তি।
দাঁড়িয়ে থাকা মূর্তি গুলোর নাম হলো মুয়াই। এখানে থাকা সবথেকে বড় মূর্তিটির উচ্চতা ৩৩ ফুট এবং এর ওজন ৮২ টন। এই মূর্তিগুলোর মাথা আকারে অনেক বড়।
অনেকই ধারণা করেন যে, এই মুয়াই গুলো অন্য গ্রহের মানুষের। এর অন্যতম কারণ হলো এখানে থাকা ৮৮৭টি মুয়াইয়ের মুখ একটির সাথে অন্যটির কোনো মিল নেই।
এছাড়াও অনেকের মতে এই মূর্তিগুলোর মধ্যে থেকে বছরের কোনো এক নির্দিষ্ট সময় শব্দ বের হয়, যা এই ইষ্টার দ্বীপটিকে রহস্যময় করেছে। ইষ্টার দ্বীপটির কোনো ব্যাখ্যা বিজ্ঞানীরা এখনো পর্যন্ত দিতে পারেনি।
আরো পড়ুন>> পৃথিবী ধ্বংস হবে মৌমাছি ছাড়া বিস্তারিত জানুন
২. এল ডোরাডো

রহস্যময় একটা শহর এল ডোরাডো। আপনাকে যদি বলা হয় হয় একটি সোনার শহরের কথা তাহলে সবার আগে এল ডোরাডোর কথা মাথায় আসবে। এই এল ডোরাডো শহরকে নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কল্পনার জাল বিস্তার করেছে।
আসলেই কি এল ডোরাডো শহর আছে? নাকি শুধু গল্প? ৮০০ খ্রীস্টাব্দ থেকে বিভিন্ন পুথি বা নথিতে এল ডোরাডোর উল্লেখ পাওয়া গেছে কিন্তু ষোড়শ শতক থেকে এর উল্লেখ এবং এর খোজ বিস্তার পরিধিতে শুরু হয়।
এল ডোরাডো শহর সম্পর্কে জুয়ান মারটিনেজ বলেন, যে দক্ষিণ আমেরিকার গভীর জঙ্গলে রয়েছে এক অদ্ভত শহর এবং সেখানে রয়েছে অনেক ধনসম্পদ। এই শহরটিতে এত পরিমাণের সোনা রয়েছে যে, যার কারণে এই শহরকে গোপন করা হয়েছে।
অনেক মানুষ এই শহর খোঁজে যাত্রা করেছেন কিন্তু তারা সবাই ফেইল করেছে। এখন পর্যন্ত এল ডোরাডো শহর আমাদের কাছে নিখোজ রয়েছে। কোনো বিজ্ঞানী এই শহরকে খুঁজে বের করতে পারেনি।
>> বিশ্বের রহস্যময় ৯ টি প্রাচীন জায়গা
৩. বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল
বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল যেটা শয়তানের ত্রিভুজ নামেও পরিচিত। এটি আটলান্টিক মহাসাগরের একটি অঞ্চল। এই অঞ্চলে বেশ কিছু বড় বড় জাহাজ এবং উড়োজাহাজ রহস্যজনভাবে তলিয়ে গেছে।
অনেকেই মনে করেন এই ঘটনার গুলোর পেছনে অন্য গ্রহের প্রাণীদের হাত রয়েছে। তবে এ বিষয়ে তথ্য রয়েছে যে, যেসব দুর্ঘটনার উপর ভিত্তি করে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলকে চিহিুত করা হয়েছে তার বেশ কিছু ভুল, কিছু লেখক দ্বারা অতিরঞ্জিত হয়েছে এমনটি কিছু দুর্ঘটনার সাথে অন্যান্য অঞ্চলের দুর্ঘটনার কোনই পার্থক্য নেই।
>> বিশ্বের রহস্যময় ৯ টি প্রাচীন জায়গা
৪. ইনকাদের হারিয়ে যাওয়া শহর
এই শহরটি পেরুতে অবস্থিত। এটি ইনকা সভ্যতার সবচেয়ে আলোচিত নিদর্শন। যাকে বলা হয় ইনকাদের হারানো শহর। আন্দিজ পর্বতমালার একটি পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত ইনকাদের সেইসব হারানো শহর হলো মাচুপিচু।
বর্তমান সময়ে পুরো পাহাড়টির নাম হয়েছে মাচুপিচু। মাচুপিচু শহরটি ছিলো সুপরিকল্পিত নির্মাণ। এই শহরটি ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে প্রাকৃতিকভাবেই শহরটি বেশ নিরাপদ শহর ছিলো। আর তাই এই শহরটি ইনকাদের প্রাচীন দুর্গনগরী নামেও অধিক পরিচিত।
>> বিশ্বের রহস্যময় ৯ টি প্রাচীন জায়গা
৫. মায়ান্দের মন্দির
মায়া সভ্যতা বা মায়ান্দের মন্দিরের মধ্যে সরাসরি মাথার খুলি দিয়ে সাজানো দেওয়া আছে। এটা নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে কিন্তু যারা গবেষণা করেছে তারা বিষয় জনসম্মুখে প্রকাশ করেনি। কেনো করেনি এবং তারা গবেষনা করে কি পেয়েছে এটা আজও রহস্যময় হয়ে আছে।
>> বিশ্বের রহস্যময় ৯ টি প্রাচীন জায়গা
৬. ইজিপ্টের পিরামিড
রহস্যময় প্রাচীন শহর নিয়ে কথা উঠছে অথচ পিরামিডের নাম থাকবে না তা কি করে হয়। আপনার সকলেই জানেন মিশরের মিরামিডের কথা।
এই এজিপ্টের পিরামিড কে তৈরি করেছে এবং কিভাবে তৈরি হলো তার কোনো সমাধান এখন পর্যন্ত কোনো বিজ্ঞানী বের করতে পারেনি।
কোনো মানুষের পক্ষে এই পিরামিড তৈরি করা সম্ভব নয়। কারণ পিরামিড যেই পাথর দিয়ে তৈরি তার সংখ্যা প্রায় দুই মিলিয়ন এবং এদের একেকটির সর্বনিম্ন ওজন ৯ টন।
এটি তৈরি হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ৫০০০ বছর আগে। এর উচ্চতা প্রায় ৪৮১ ফুট। এটি ৭৫৫ বর্গফুট জমির উপর স্থাপিত। পিরামিড তৈরি হতে প্রায় ২০ বছরের বেশি সময় লেগেছে এবং শ্রমিক কাজ করেছে প্রায় ১ লাখের বেশি।
অনেক শ্রমিক মারা যায় এই পিরামিড তৈরি করার সময়। তবে এখানে একটা প্রশ্ন হলো ৯ টন এর বেশি ওজনের কোনো পাথরকে কিভাবে নিখুতভাবে একটির উপর আরেকটি রাখা হলো।
আর এই পিরামিডের ভেতরেই বা কি রয়েছে। অনেকেই মনে করেন পিরামিডের মধ্যে এলিয়েন বাস করে এবং তারা এটাও মনে করেন যে এটি তৈরির পেচনে এলিয়েনদের হাত রয়েছে।
আবার অনেকে মনে করেন এটি সৃষ্টি কর্তার এক অলোকিক ঘটনা। তবে এর কোনো ব্যাখ্যা বিজ্ঞানীরা এখনো পর্যন্ত দিতে পারেনি। পিরামিড নিয়ে আমাদের জানার আগ্রহ অনেক বেশি।
আরো পড়ুন>> কোমল পানীয় কতটা ক্ষতিকর বিস্তারিত জানুন
৭. স্পিংক্স
স্পিংক্স ভাষ্কর্যের দেহ সিংহের এবং মাথা ফেরাউনের (ফেরাউন মিশরের রাজাদের উপাধি)। অনেকেই মনে করেন এই মাথা রাজা খাফরির চুনাপাথরের তৈরি বিশাল মূর্তি। সময়ের সাথে সাথে এটি ভেঙ্গে পড়েছে। তবে এর কোনো সঠিক ব্যাখ্যা বিজ্ঞানীদের কাছে নেই। তাই এটি একটি রহস্যময় ভাষ্কার্য।
৮. এরিয়া ৫১
অমীমাংসীত এবং নিষিদ্ধ একটি শহর হলো এরিয়া ৫১। এরিয়া ৫১ দক্ষিণ নেভাদের গ্রুম লেকের উপর অবস্থিত। এটি প্রতিষ্ঠা করে আমেরিকার বিমান বাহিনী। যারা তারা বিভিন্ন ধরনের জাহাজ তৈরি করে গোপণে।
যার কারণে এটি নিষিদ্ধ একটি শহর। অনেকে মনে করেন যে এখানে গোপনে এলিয়েনদের সাথে যোগাযোগ করা হয়। এই শহরে কেউ প্রবেশ করার চেষ্টা করলে গুলি করা হয় এবং এর জন্য তাদের সরকারের থেকে অনুমতি নেওয়া আছে। এরিয়া ৫১ শহরের মধ্যে করি করা হয় এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা জানতে পারেনি। কারণ এই শহরে কেউ প্রবেশ করতে পারে না।
>> বিশ্বের রহস্যময় ৯ টি প্রাচীন জায়গা
৯. লকনেস দ্বীপের রহস্য
স্কটের লোকমুখের সব থেকে প্রচলিত গল্প। অনেকের মতে লকনেস লেকে দেখতে পাওয়া যায় বিশার দেহের প্রানীকে। লোকমুখে শোনা যা এই রহস্যে ঘেরা প্রানী ছোট বাচ্চাদের পিঠে চড়াবার লোভ দেখিয়ে পানির নিচে নিয়ে হারিয়ে যায়।
১৯৩৩ সালে প্রথম দাবি ওঠে এই রহস্যের প্রানী দেখার। এর পরে কেউ একজন ছবি তুলে ফেলে। যদিও অনেকের দাবি এটি ভূয়া ছবি। এরপর এই ছবি হয়ে ওঠে এই লকনেসের রহস্যে ঘেরা প্রানীর একমাত্র প্রমান এবং ততকালীল সময়ের সংবাদ পত্রের প্রধান সংবাদ। কিন্তু এই প্রাণীটি আসলে কি তার কোনো ব্যাখ্যা বিজ্ঞানীরা নিতে পারেনি।
>> বিশ্বের রহস্যময় ৯ টি প্রাচীন জায়গা
আমাদের শেষ কথা
এই ছিলো আমাদের আজকের প্রতিবেদন। আশা করি এই প্রতিবেদন থেকে আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরেছেন। নিয়োমিত এমন রহস্যময় প্রতিবেন পেতে আমাদের সাথেই থাকবেন। ধন্যবাদ
>> বিশ্বের রহস্যময় ৯ টি প্রাচীন জায়গা
>> ৯ টি প্রাচীন জায়গা
One Comment on “বিশ্বের রহস্যময় ৯ টি প্রাচীন জায়গা”